রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর আলম তুষারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর হারাগাছ রোড সাহেবগঞ্জ এলাকার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তানভীর আলম তুষার ওই এলাকার ব্যবসায়ী মোহসীন আলীর ছেলে ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে আত্মহত্যার আগে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘আই কুইট ফর এভার’ লিখে একটি স্ট্যাটাসও দেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তানভীরের ঘর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুষার একটি স্ট্যাটাসে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে চিরতরে প্রস্থানের ইঙ্গিত দেন। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। আত্মহত্যার পূর্বে তুষার হতাশাগ্রস্ত ও দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন বলেন, সকালের দিকে বাড়িতে সে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। এখন পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তুষার খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা এ ঘটনায় শোকাহত।
তুষারের আত্মহত্যার ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তার পরিবারের লোকজন। তবে প্রতিবেশীদের দাবি, কয়েক দিন আগে তুষারের সঙ্গে তার পরিবারের ঝগড়া হয়েছিল। সম্প্রতি তার বাবার সঙ্গেও কথাকাটাকাটি হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ওসি শওকত আলী সরকার জানান, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তুষার করোনাকালীন মোবাইলে টাকা দিয়ে জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। মোবাইলে গেম খেলতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে সে মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিল।
তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। তবে এখনো আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।