মেহেরপুর-২ (সংসদীয়-৭৪) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত দুই বারের সাবেক সাংসদ মো: আব্দুল গনি। বিএনপি থেকে নমিনেশন না পেয়ে একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি এলডিপি থেকে মনোনয়ন দাখিল করলেও পরবর্তীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আর এবার তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে। একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে তার ব্যবসা থেকে আই বৃদ্ধি পেলেও খুইয়েছেন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। হারিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী দেওয়া আছে তার সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।
বর্তমানে হলফনামা অনুযায়ী মোঃ আব্দুল গনির পেশায় ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় হয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৪৫ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র। আর তার স্ত্রী রয়েছে ৮৫ হাজার টাকা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেয়া হলফনামাতে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাবদ বছরে তার আয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার নিজের ছিল ১৫ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ছিল ৪৫ হাজার টাকার ও আসবাবপত্র ছিল ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের। অপরদিকে তার স্ত্রীর নামে ৩০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল পাশাপাশি উপহার সূত্রে পাওয়া দুই ভরি স্বর্ণালংকার ছিল।
বর্তমানে আব্দুল গনির স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নামীয় শুধু একটি দ্বিতল বাড়ি। তবে তার স্ত্রীর বর্তমানে কোন স্থাবর সম্পদ নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর গাজীপুরের জয়দেবপুরে ২ হাজার বর্গফুটের একটি দোতলা বাড়ি ছিল। আর আব্দুল গনির ৫ বিঘা কৃষি জমি, ঢাকার বনানীতে ২৮ লাখ টাকা সময় মূল্যের ৩ কাঠা ১৪ ছটাক অকৃষি জমির প্লট এবং গাংনীতে ১০ শতক জমির উপরে একটি দ্বিতল বাড়ি, যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।