ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আজগরের বিরুদ্ধে শালিসের নামে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় ও লিজকৃত পুকুরের মাছ আত্মসাতের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের মাছ চাষী মহাম্মদ আলী।
গাংনী উপজেলার কসবা ভাটপাড়া গ্রামের স্থানীয় এক নারীর সাথে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তিনি এ টাকা আদায় করেছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলন অভিযোগ আনেন ওই ব্যাক্তি।
গতকাল শুক্রবার বিকালে গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন মহাম্মদ আলীর চাচাত কুটুম কসবা গ্রামের সোহরাব হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ আনেন, আমি গত বছরে ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আজগরের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে একটি পুকুর তিন বছরের নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি।
আমি সেখানে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে আলী আজগর ও তার লোকজন আমাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করেন। আমাকে পুকুর লিজ দিয়ে আবার সেই পুকুরের মাছ আত্মসাৎ করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
সব শেষে ভাটপাড়া গ্রামের সৌদী প্রবাসীর স্ত্রী চাইনা খাতুনের সাথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় করেছেন।
আমার কাছ থেকে ব্লাক মেইল করে নেওয়া সেই টাকা আমি তার কাছ থেকে ফেরৎ পেতে এই সংবাদ সম্মেলন করেছি। তিনি আরও জানান চাইনা খাতুন নামের ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আমার ভাল সম্পর্ক।
তার স্বামীর অনুরোধে তাকে আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে মোবাইল ফোনে তার প্রবাসী স্বামীর সাথে মনোমালিণ্য হয়।
পরে সে ১০ টি ঘুমের বড়ি খেয়ে সঙ্গাহীন হয়ে পড়ে। এঘটনায় আমি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ৫/৬ দিন সেখানে থাকতে হয়। পরে আমরা বাড়ি ফিরে এলে তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।
তবে এঘটনায় আলী আজগর জানান, প্রবাসীর স্ত্রী চাইনা খাতুনের সাথে সে বেশ কয়েকদিন বাইরে থাকার পর চাইনা খাতুন তার স্বামীর বাড়ি ফিরে এলেও তখন থেকেই পলাতক আছে মহাম্মদ আলী।
এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ওই নারীই আমাদের কাছে অভিযোগ দেন তার বিরুদ্ধে। সে জানায় সমিতি থেকে লোন উত্তোলন করে মহাম্মদ আলীকে ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
মহাম্মদ আলীর কুটুম সেই ৯০ হাজার টাকা বিচার শালিসের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন। জনসম্মুখে সে টাকা চাইনা খাতুনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে স্ট্যাম্পে লেখাপড়া করে নেওয়া হয়েছে।