মেহেরপুরের সাবেক সিভিল সার্জন এবং তাবলীগ জামাতের বর্তমান রাজশাহী জেলা আমির ডা. আমিনুল ইসলামের বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হয়েছে মেহেরপুর জেলার তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা।
আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করা হয়।
গত বুধবার ১৩ ডিসেম্বর মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিলো তাবলীগ জামাতের আয়োজিত এই আঞ্চলিক ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। আর আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সেই আনুষ্ঠানিকতার।
মেহেরপুর জেলা সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা থেকে কয়েক হাজার মুসল্লী সমবেত হয়েছিলেন এবারের ইজতেমা মাঠে। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়া থেকে ১১ জনসহ ভারত থেকেও কয়েকজন মুসল্লী এসে সমবেত হয়েছেন এই ইজতেমা ময়দানে।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আজ শুক্রবার থেকেই জেলা বিভিন্ন প্রান্ত হতে মাঠে লোকসমাগম শুরু হয। জুমার নামাজের আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুস সালাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও ইজতেমা মাঠে এসে সমাবেত হন। জুমার নামাজের সময় ইজতেমার মাঠটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আনুমানিক প্রায় দশ সহস্রাধিক মুসল্লী আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান জানান, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছিল। র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ কাজ করছে। এছাড়াও ইজতেমা মাঠ প্রাঙ্গনের নিরাপত্তা রক্ষায় শতাধিক পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।’