মেহেরপুরসহ কয়েকটি পৌরসভা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের তপশিল নিয়ে আলোচনার জন্য আজ সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। নতুন কমিশনের এটি দ্বিতীয় বৈঠক। সোমবারের বৈঠকে কয়েকটি পৌরসভা ও কুসিক নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ২৫ এপ্রিল কমিশন সভার অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। আজ সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় কুমিল্লাসহ বেশ কিছু ইউনিয়ন পরিষদ, কয়েকটি পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে। ইসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুন কুমিল্লা সিটির তপশিল হতে পারে। এই নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। একই বৈঠকে মেহেরপুর পৌরসভাসহ কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচনের তারিখও নির্ধারণ হতে পারে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
গত ৫ এপ্রিল বর্তমান কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ভোটের তারিখ নির্ধারণ করতে পারেনি ইসি। তবে রমজানের শেষের দিকে তপশিল দিয়ে ২০ জুনের মধ্যে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয় আরও আগে থেকে। কিন্তু কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সীমানা বিন্যাস ইস্যুতে মামলা হয়। এটি নিষ্পত্তি করতেই সময়ক্ষেপণ হয়। ফলে আগামী ১৬ মের মধ্যে এ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্বাচন করতে হচ্ছে ইসিকে। এর আগে কমিশন সচিবালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছিলেন, ১৬ জুনের মধ্যে নির্বাচন করা হবে।
নতুন সিটি গঠন থেকে দু’বার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লা সিটিতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় একই বছরের ১৭ মে। আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। সেই অনুযায়ী এই সিটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১৬ মে। একই হিসেবে মেহেরপুর পৌরসভাসহ বেশকয়েকটি পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে ২৭ মে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ করতে হয়। তবে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট করা সম্ভব নয় বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছে ইসি।