আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষিকুন্ড গ্রামে বিবাদপূর্ণ সম্পত্তিতে জবরদখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্তেও নিশেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের লক্ষিকুন্ড গ্রামের খাঁ পাড়ার মৃত ঝড়ু খাঁর ছেলে আঃ ছামাদ খাঁ ও তার ছেলে মতিয়ার রহমান, আনিচুর রহমান ও মশিয়ারের বিরুদ্ধে। এতে অভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এদিকে ভুক্তভোগী বাদী শরিফুল ইসলাম পুলিশের দারস্থ্য হয়েও পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। এবিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন অসহায় ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের লক্ষিকুন্ড গ্রামের খাঁ পাড়ার মৃত শাহাদৎ হোসেনের নামে কোটচাঁদপুর ৩৬ নং জয়দিয়া লক্ষিকুন্ড মৌজার ৫৫২নং এসএ খতিয়ান ও হাল ৯৭ খতিয়ানের ১৫৫৮এস এ দাগ ও ২৯৭৮ হালদাগের ১৯ শতক জমি ১৮২৬ ও ১৯৬২ সালের রেকর্ডে উল্লেখ থাকে। শাহাদৎ হোসেনের মৃত্যুর পর তার চাচাতো ভাই সামাদ খাঁ ভূয়া ও জাল কাগজ পত্র দাখিল এবং অনিয়ম করে ১৯৮৬ সালের রেকর্ডে ৬ শতক জমি সামাদ খাঁ নিজের নামে রেকর্ড করে নেন। পরবর্তিতে বিষয়টি বুঝতে পেরে শাহাদৎ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ খাঁ বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলা দেওয়ানী আদালতে ২০১৯ সালের দিকে রেকর্ড সংসধনী মামলা দায়ের করেন। যা দেওয়ানী আদালতে রেকর্ড সংসধনী মামলায় বিচারাধীন।
এর পরেও বিবাদপূর্ণ ওই সম্পত্তিতে সামাদ খাঁ ও তার ছেলেরা সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা জবর দখল করে ঘর নির্মান করছেন। যার প্রেক্ষিতে গত ১৬-০৮-২০২১ তারিখে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাজ বন্ধের নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৪৪ ধারার আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে কোট পিঃ ৫৮৯/২০২১ এবং ১২৩৫ নং স্মারকে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা কার্যকর করতে তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। থানার এ.এস.আই রাসেল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই সম্পত্তিতে ১৪৪ ধারা জারি রেখে কোন প্রকার কাজ না করার নির্দেশ প্রদান করেন।
কিন্তু বিবাদী সামাদ খাঁ ও তার ছেলেরা ভোগদখলকৃত অংশে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক রাজনৈতিক প্রভাব ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘর নির্মাণ করছে। তাতে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি, গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়।
এবিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মঈন উদ্দিন জানান, আদালতের আদেশ ক্রমে ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যা,পরবর্তী দিন আগামী ০৩-১১-২০২১ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যদি কেই এই আদেশ অমান্য করে তাহলে, আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।