দামুড়হুদার উজিরপুর থেকে আরও দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দিনগত রাতে দামুড়হুদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উজিরপুর শখেরপাড়ার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আবদুল আলিমের বসতবাড়ির গোয়ালঘর থেকে লাল রঙের দুটি এড়ে গরু উদ্ধার করা হয়।
গরু চোরচক্রের মূলহোতা রনির দেওয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে গরু দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় উদ্ধারকৃত গাভীর মালিক হোগলডাঙ্গার শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে রনিকে আসামী করে গতকাল সোমবার রাতে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ দিকে
উজিরপুর শখেরপাড়ার রিহান আলীর ছেলে গোলাম মুরশিদ জানান, কিছুদিন আগে আমার গোয়ালঘর থেকে একটি পাকিস্তানি এড়ে গরু চুরি হয়ে যায়। এ ছাড়া একই পাড়ার মৃত মোক্তার আলীর ছেলে ইনছান আলীর গোয়ালঘর থেকেও একটি এড়ে গরু চুরি হয়ে যায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আটক রনিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
এদিকে স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, এলাকায় এক বছরে অনেক গরু ও ছাগল চুরি হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তারা আরও জানান, চোরচক্রের নেপথ্যের গডফাদার কারা ? তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবী। এছাড়া আটক রনিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এলাকাবাসীর ধারণা পুলিশ ততপর হলে এলাকায় চুরি হওয়া গরু উদ্ধারসহ চোর সনাক্ত করা সম্ভব হবে।খেটে খাওয়া মানুষের এক মাত্র সঞ্চয় একটি গরু আর সেই গরু চুরি হলে কৃষকের সব স্বপ্ন মাটির সাথে মিশে যায়।তাই এলাকার চোরগুলি আটক করে আদালতে সৌর্পদ করবে পুলিশ এমনটিই চাওয়া স্বপ্নহারা কৃষকের।
উল্লেখ্য, আন্তঃজেলা গরু চোরচক্রের মূলহোতা পুড়াপাড়া গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে রনির বসতবাড়ির গোয়ালঘর থেকে গত সোমবার বিকেলে দুইটি চোরাই গরু উদ্ধার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ উজিরপুর শখেরপাড়ার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে এলাকার চিহিৃত গরুচোর আলিমের বসতবাড়ির গোয়ালঘর থেকে আরও দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়।