স্মার্টফোন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। এটি ছাড়া বলা যায় এক মানুষের দিন কাটানোই প্রায় অসম্ভব। তবে এই স্মার্টফোনে কতটা জীবাণু থাকে, তা জানলে আঁতকে উঠবেন যে কেউ।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, স্মার্টফোনকে যতটা পরিষ্কার ভাবি আসলে তা নয়। স্মার্টফোনের গায়ে লেগে থাকে অসংখ্য জীবাণু, যা আমাদের সংক্রমণের কারণ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্মার্টফোনকে নোংরা করার জন্য দায়ী আপনার নিজের হাত। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গেছে, একজন আমেরিকা বাসী প্রতিদিনে গড়ে ৪৭ বার স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এর ফলেই ব্যবহারকারীর হাত থেকে বহু জীবাণু স্মার্টফোন পৃষ্ঠে পৌঁছে যায়।
গবেষণায় একজন হাইস্কুল ছাত্র অথবা ছাত্রীর স্মার্টফোনে ১৭ হাজার ব্যাকটেরিয়ার জিন পাওয়া গেছে। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, টয়লেট সিটের থেকে ১০ গুণ বেশি জীবাণু থাকে স্মার্টফোনে।
ইম পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, মানুষের ত্বকের উপরে সব সময় বহু জীবাণু দ্বারা আবৃত থাকে, যা মানুষের কোন ক্ষতি করে না। কিন্তু এর মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া মানুষকে অসুস্থ করতে পারে।
গবেষণায় জানানো হয়েছে স্মার্টফোনের উপরে থাকা জীবাণু হয়তো সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে অসুস্থ করবে না, কিন্তু এই ধরনের জীবাণু এড়িয়ে চলা ভালো। তবে শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া নয়, স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। বন্ধুর হাতে স্মার্টফোন দেওয়ার কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে কোভিড ১৯ পর্যন্ত সংক্রমণ হতে পারে।
যদিও স্মার্টফোনে জীবাণু এড়িয়ে চলা সম্ভব। এজন্য সবার আগে বাথরুমে স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। বাথরুমে স্মার্টফোন নিয়ে গেলে নিজের শরীর পরিষ্কার হলেও স্মার্টফোনে অসংখ্য ক্ষতিকারক জীবাণু লেগে যায়। যা বাথরুম থেকে বের হবার পর স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছে যেতে পারে। তাই স্মার্টফোনকে জীবাণুমুক্ত রাখতে বাথরুমে স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।
এছাড়াও ৪০ শতাংশ রাবিং অ্যালকোহল ও ৬০ শতাংশ পানি মিশিয়ে স্মার্টফোন পরিষ্কার করতে পারেন। মনে রাখবেন পরিষ্কার করার সময় কোনওভাবেই যেন স্মার্টফোনের ভিতরে পানি না পৌঁছায়। সূত্র-যুগান্তর