আফিফ হোসেন ও এনামুল হক বিজয়ের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান করল বাংলাদেশ।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে হলে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়ে খেলতে হবে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলকে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩০৩/৩ রান করেও বাংলাদেশ হারে ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯০/৯ রান করে আগের মতোই টাইগাররা হারে ৫ উইকেটে।
বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে স্কোর বোর্ডে ৪১ রান জমা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। এনামুলের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল।
উদ্বোধনীতে ৪১ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে হারায় ওপেনার তামিম ইকবাল, তিনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও চারে ব্যাটিংয়ে নামা সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৬২ ও ৫০ রান করা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম এদিন ফেরেন ৩০ বলে ১৯ রান করে। শান্ত-মুশফিকরাতো রানের খাতা খোলার সুযোগই পাননি।
চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৯০ বলে ৭০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আগের দুই ম্যাচে ৭৩ ও ২০ রানে আউট হওয়া বিজয় এদিন ফেরেন ৭১ বলে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৭৬ রান করে।
বিজয় আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৫৭ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন রিয়াদ। আগের দুই ম্যাচে ২০* ও ৮০* রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহ এদিন টেস্টের আদলে ব্যাটিং করে ৬৯ বলে ৩৯ রানে ফেরেন।
রিয়াদের পর আফিফের সঙ্গে ৪৭ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে আউট হন অলরাউন্ডার মেহিদ হাসান মিরাজ। তিনি ফেরেন ২৪ বলে দুই চারে ১৪ রান করে। আগের ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। ফেরেন ১৫ রানে। দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ২৯ রান। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।
মিরাজ আউট হওয়ার পর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানরা। তবে আফিফ হোসেনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে পারে বাংলাদেশ।
২৪.৪ ওভারে দলীয় ১২৪/৪ রানের সময় ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেন আফিফ। তার ৮১ বলে ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় সাজানো ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয়।