আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। তবে কোন আদালতে করা হবে না হবে, তা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এজাহারে অনেকের নাম নেই—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলার এজাহার করা হয়েছে। এই মামলার ও হত্যার যে প্রকৃতি, হয়তো অনেকের নাম এজাহারে না-ও আসতে পারে। কিন্তু এজাহার করার পরে একটা তদন্ত হয়, তদন্ত পুলিশ করবে এবং সেই তদন্তে যারা দোষী, তাদের সবার নাম মামলায় যুক্ত হবে।
এর আগে জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আনিসুল হক। এ সময় তিনি বলেন, সব আদালত ভবনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ক্যামেরাগুলো মনিটরিং করা হবে। সাড়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ তলাবিশিষ্ট ওই আদালত ভবন নির্মিত হয়।
অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৬ আসনের সাংসদ আয়েশা ফেরদাউস, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ছারওয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিকেলে মন্ত্রী জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আইন পেশায় ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আটজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ সময় মন্ত্রী আইনজীবী সমিতির গ্রন্থাগারের বই কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
-নিজস্ব প্রতিনিধি