মেহেরপুর সদর উপজেলার নতুন দরবেশপুর গ্রামের যুব লীগ নেতা রোকন বিশ্বাস ও তার চাচাতো ভাই মাছ ব্যবসায়ী হাসান বিশ্বাস হত্যা মামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নুরুজ্জামান এবং ফরিদ উদ্দিন নামের দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার আটক দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এসআই আহসান হাবিব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ থেকে তাদের আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার শিবপুর গ্রামের নুরুজ্জামান এবং আলী নগর গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ফরিদ উদ্দিন। এ নিয়ে দরবেশপুর জোড়া খুন মামলায় ৮ জনকে আটক করা হলো। আটক ৮ জনের মধ্যে ৩ জন আদালতে স¦ীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসান জানান, আটকদের মধ্যে নুরুজ্জামান কুখ্যাত ডাকাত তার নামে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দরবেশপুর শোলমারি বিলে জোড়া খুন মামলার তদন্ত অনেক এগিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত জোড়া খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই পুলিশ সুপার মহোদয় এ মামলার সামগ্রিক অগ্রগতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন এবং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন খুব দ্রুত আদালতে দাখিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম¦র রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর শোলমারি বিলে পাহারা দেওয়ার সময় একদল সন্ত্রাসী রোকন বিশ্বাস ও তার চাচাতো ভাই হাসান বিশ্বাসকে কুপিয়ে ও গলাকেটে নৃশংস ভাবে হত্যা শেষে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে তাদের লাশ উদ্ধার করে। পরদিন রোকন বিশ্বাসের স্ত্রী আলেয়া খাতুন বাদি হয়ে মেহেরপুর সদর থনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়।
-নিজস্ব প্রতিনিধি