আলমডাঙ্গায় বজ্রপাত ঠেকাতে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে ৩০ হাজার তাল বীজ রোপণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি)র উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বজ্রপাত প্রতিরোধে এই তালগাছ রোপণ করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সড়কের দৃষ্টিনন্দন হবে, অন্যদিকে স্থানীয়রা এ থেকে নানা সুবিধা ভোগ করবে।
উপজেলা প্রকৌশল সূত্রে জানাযায়, বজ্রপাতের হটস্পট এলাকা উপজেলার আলমডাঙ্গা-সরোজগঞ্জ সড়কে ৭ হাজার, বেলগাছি-ঘোষবিলা সড়কে ৫ হাজার, ডাউকি-পাচলিয়া সড়কে ৪ হাজার, ঘোলদাড়ি-সরোজগঞ্জ সড়কে ৫ হাজার, ফরিদপুর-ডামোশ সড়কে ২ হাজার, গোবিন্দপুর-কাশিপুর সড়কে ৩ হাজার, বন্ডবিল-মিরপুর সড়কে ৩ হাজার ও জুগিরহুদা ও মাজহাট সড়কে ১ হাজারসহ মোট ৩০ হাজার তাল বীজ রোপন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে আলমডাঙ্গা-সরোজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে সারি সারি তালগাছ বীজ রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই বীজ থেকে চারা রোপণের পরে গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষায় চারদিকে বাঁশের খুঁটি ও জাল দিয়ে বেড়া দেওয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, রোপনকৃত বীজ থেকে চারা জন্মানোর পর অযত্নে গাছ গুলো মারা যায়। তবে পর্যায়ক্রমে উপজেলায় ব্যাপক ভাবে তাল বীজ রোপনে এটি মহৎ উদ্যোগ। তালগাছের চারা রোপণ করায় আমরা খুশি। এই গাছ বড় হলে আমরা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাবো। সেই সঙ্গে তালগাছ থেকে তাল ও রস পাবো। এর ছায়ায় আমরা বিশ্রাম নিতে পারবো। পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় পাবে। এলাকায় সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ উপজেলায় বিগত দিনে বজ্রপাতে অনেক কৃষকসহ সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে তাল বীজ রোপন করা হয়েছে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আরিফউদ্দৌলা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমএ সামাদ, সাব এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কার্যসহকারী সোহরাব উদ্দীন, ওয়ারেশ আলি, এমএলএস আবু জাফর, কমিউনিটি অর্গানাইজার হারুন অর রশীদ, সুপার ভাইজার আব্দুর রাজ্জাক,আব্দুর রহিম, মোশারেফ হোসেন, রেহেনাজুন্নুরাইন, সাগরী ও রজনী।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৪০ লাখ খেজুর বীজ রোপন করা হয়েছে।