আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহি পশুহাট দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। পৌরসভার দখলে থাকা বিশালাকার পশুহাটের প্রায় অর্ধেক অংশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নতুন করে অন্য একজনকে ইজারা দেওয়ায় হাটটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
বুধবার (১৫ জুলাই) সাপ্তাহিক হাটের দিনের সকাল ১০ টার দিকে রেল কর্তৃপক্ষ তাদের অংশের চারদিকে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়ে যান। এ সময় নতুন ইজারা পাওয়া রবিউল ইসলাম ও আলমডাঙ্গা যুবলীগের সমর্থনে শতাধিক নেতাকর্মী হাট এলাকায় সমবেত হন। এতে উত্তেজনাও দেখা দেয়।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভুমি) হুমায়ুন কবীর, থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ পশুহাট এলাকায় উপস্থিত হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী বলেন, যারা ইজারা পেয়েছেন তাদেরকে ডিসি ও এসপি বরাবর চিঠি দিতে বলা হয়েছে। আমরা আদেশ পেলে তাদের স্বত্ব বুঝিয়ে দিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ৮ জুলাই রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ে আলমডাঙ্গার লালব্রীজ সংলগ্ন পশুহাটের রেলভুমির উন্মুক্ত ডাক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কুষ্টিয়ার খোর্দ আইলচারা গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ৫ জন দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দরে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলমডাঙ্গা পশুহাটের রেলভুমির ইজারা পান।
ওইদিনই রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি আদেশনামা দেওয়া হয়।