স্বল্প মূল্যে সারা বছর নিরবিচ্ছিন্ন সুপেয় পানি পাচ্ছে আলমডাঙ্গা পৌরবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় এক যোগে তিনটি পানির পাম্প উদ্বোধন করেন মেয়র হাসান কাদির গনু। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সুপেয় সাপ্লাই পানি পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে পাম্প বসানো, পাম্প হাউজ নির্মাণ, সংযোগ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে পৌর এলাকার ৪১ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন শেষ হয়। এছাড়াও প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার বাসিন্দাদের সাপ্লাই পানির আওতাধীন সংযোগ দিয়েছে পৌরকতৃপক্ষ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক যোগে তিনটি পাম্প হাউজের উদ্বোধন করেন মেয়র হাসান কাদির গনু। এই সুপেয় পানি প্রথম পর্যায়ে ৮ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সুবিধা ভোগ করলেও পর্যায়ক্রমে বন্ডবিল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণ পরবর্তীতে সুপেয় পানির আওতাধীন আসবে বলে জানান পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। বসতবাড়িতে সুপেয় পানির সংযোগ লাইনে মিটার করা হয়েছে । পানির ব্যবহার অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে পারবে ভুক্তভোগীরা।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিরণ বেগম বলেন, পৌরসভা স্থাপনের প্রায় ৩০ বছর পর সুপেয় পানি পাচ্ছি। বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎ বাড়ির পাইপ দিয়ে পানি বের হচ্ছে।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলি আজগার জানান, দুপুর থেকে সহজেই মিলছে সুপেয় পানি। গভীর নলকূপের পানি অনেকটা শীতল। সাপ্লাই পানি পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।
পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু জানান, পানি সরবরাহ চালুর কারণে পৌরবাসীদের ব্যক্তিগত মোটরে পানি তোলায় বিদ্যুৎ বিলের অতিরিক্ত খরচ কমে যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে পানির বিল পরিশোধ করা যাবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, পৌর নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র মজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সাধারণ সম্পাদক কাজি রবিউল হক, পৌর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, সিএ হাফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা হাজি ঠান্ডুর রহমান, কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন,আশরাফুল ইসলাম বাবু, বাপ্পি হোসেন, জহুরুল ইসলাম স্বপন, আব্দুল গাফ্ফার প্রমূখ।