আলমডাঙ্গা বন্ডবিলের এমএসবি ভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বনজ গাছ। দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ইট ভাটা মালিক মুন্সি বাবু।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বন্ডবিল গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরি করছে এমএসসি ভাটা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ইট ভাটায় গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে ইট তৈরির প্রক্রিয়া।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন নিরব থাকায় ভাটা মালিকরা কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোয় বেশি উৎসহ পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ফিট চুংগা আইন করে বাতিল করা হলেও আলমডাঙ্গায় আইনের তোয়াক্কা না করেই অবৈধ ইটভাটা মালিকরা তা ব্যবহার করছে।
প্রতিদিন ইট ভাটায় হাজার হাজার মণ কাঁচা গাছ ভাটায় পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ইট। এরই কারণে, ভাটা অঞ্চলের পরিবেশ দুষিত হলেও রাজনৈতিক ক্ষমতার কারণে নিশ্চুপ ভুমিকায় এলাকাবাসী।
এ ভাটায় প্রতিদিন ১০/১৫ টি অবৈধ ট্রাক্টর ও স্ট্রেয়ারিং গাড়িতে মাটি টানায় রাস্তায় কাঁদা মাটি পড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ধুলা। রাস্তায় কাঁদা মাটি পড়ায় সড়ক দুর্ঘটনার মত মৃত্যু মুখী হচ্ছে সাধারণ লোকজন।
এই ব্যাপারে মাদারহুদা, গোপালনগর, বারাদি ও বন্ডবিল এলাকার লোকজন জানান, এ ভাটার কারণে রাস্তায় বহনকৃত মাটি পড়ে তীব্র ধুলায় পরিণত হয়েছে। হালকা বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় ভয়াবহ কাঁদায়। এতে সড়কে যাতায়াত অযোগ্য হয়ে পড়ে।
তারা আরো বলেন, এ ভাটার কারণে রাস্তার পাশে ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার ধুলো গাছে পড়ায় বোঝাই যাই না এটা গাছ নাকি অন্য কিছু।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কোন ভাটায় গাছ পোড়ানোর বৈধতা নেই। যদি কোন ভাটায় গাছ পোড়ানো হয় তাহলে সে ভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।