দীর্ঘদিন আন্দোলন ফলে সম্প্রতি আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছে। এই প্রাচীর নির্মাণ ও শহীদ মিনারের বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে।
যার ফলস্বরূপ সরকার এই বেদখলকৃত জমির পুনঃরুদ্ধার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সীমানা প্রাচীর ৭ ফুট উচুঁ দেয়াল দিয়ে ঘেরা হবে। ৭ ফুট উচু দেওয়াল তৈরি হলে লোকচক্ষুর আড়ালে অনেক অনৈতিক কর্মকান্ড কর্মকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে, এই আশংকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। সীমানা প্রাচীর ৩ ফুট উচু দেওয়াল ও তার উপর ৪ ফিট রডের গ্রীল দিয়ে ঘেরা হবে।
সচেতন মহলের অনেকের ধারনা শহীদ মিনারের মত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের স্থাপনাগুলো সাধারণতঃ সহজ দৃশ্যমান করা হয়ে থাকে। স্থাপনা চত্ত্বরটি যদি ৭ ফুট বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘেরা হয় তাহলে এটি নানান অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে।তাই বাউন্ডারি ওয়ালটিকে ৭ ফুট দেয়ালের পরিবর্তে ৩ ফুট দেয়াল ও দেয়ালের উপরিস্থ অংশে ৪ ফুট এমএস বার/রডের গ্রীল দিয়ে করার জন্য গতকাল ইউএনও সাহেব বরাবর আবেদন করেন। ইহাতে নিরাপদ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পাশাপাশি এলাকার সৌন্দর্যবৃদ্ধি এবং অসামাজিক কার্যকলাপের স্থান হওয়া থেকেও স্থাপনাটি রক্ষা পেতে পারে।
গতকালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম সরেজমিনে স্থাপনাটি পরিদর্শন করেন। বিষয়টি যৌক্তিক বিবেচনায় পরিবর্তনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সে পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।