আলমডাঙ্গার খাসকররা ক্যাম্পের এসআই ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লালের স্ত্রী নুরানী পারভেজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আসামী ধরার নামে বাড়িতে জোরপূর্বক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাদের আলমডাঙ্গার স্টেশনপাড়ার বসতবাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ, গালিগালাজ ও আলমারি খুলে দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেবার অভিযোগ তুলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নুরানী পারভেজ বলেন, ‘ গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে চেয়ারম্যান লাল বাড়িতে ছিলেন না। এসআই ফরিদুল ইসলাম প্রথমে তার বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া শফিকুল ইসলাম, শাহিন শাহিদ, সাবেক কমিশনার শরিফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলামের স্ত্রী অহিদা খাতুনকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
তিনি আরো বলেন, এরপর দোতলায় আমার বাসায় জোরপূর্বক পুলিশ প্রবেশ করে । পুলিশ আমার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। এসময় আমার স্বামী চেয়ারম্যান লাল বাড়িতে ছিলেন না। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে একা বাড়িতে ছিলাম। পুলিশ জোর করে আমার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে বাড়িতে চেয়ারম্যান লালকে খুঁজতে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে। এক পর্যায়ে ঘরের আলমারি খুলে দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমি ও আমার মেয়ে এসআই ফরিদুল ইসলামের জঘন্য আচরণে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি। বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সামনেই এই কর্মকান্ড চালিয়ে তারা চলে যায়।
লিখিত বক্তব্যে নুরানী পারভেজ আরো বলেন, আমার স্বামী তাফসির আহমেদ লাল চেয়ারম্যান সালিশ বৈঠকে কোন ভুল ত্রুটি করে থাকলে তা আইন আমলে বিচারযোগ্য হবে। কিন্ত পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া কোন আইনের ভেতরে পড়ে?
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে এর সুরাহা কামনা করেছেন।