আলমডাঙ্গার দুর্লভপুরে ভেজাল ধানের বীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন থেকে কেনা চলতি আউশ মৌসুমের ব্রি-এসএল এইট এইচ জাতের সুপার হাইব্রিড ধানের বীজ চাষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে দাবি তাদের।
ধানের ক্ষতিপূরণ ও বীজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন কৃষকেরা।
কৃষকদের অভিযোগ, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের ১০ জন কৃষক এ বছর আউশ মৌসুমের জন্য দ্রুত ফলনশীল ব্রি-এসএল এইট এইচ জাতের সুপার হাইব্রিড ধানের বীজ চাষ করে। তারা ধানের বীজ সানমুন সীড ষ্টোর ও সুমন বীজ ভান্ডার থেকে ক্রয় করেন। সানমুন সীড ষ্টোর আলমডাঙ্গা পৌর শহরের বীজ পট্রিতে অবস্থিত।
সানমুন সীড বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় কতৃক অনুমোদন প্রাপ্ত ও বি.এ.ডি.সির বীজ ও সারের একমাত্র ডিলার। কিন্তু সুমন বীজ ভান্ডার খুচরা বিক্রয়কৃত দোকান।
গত কয়েক মাস পূর্বে উপজেলার কুমারি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের রাজু হোসেনের ছেলে ফিরোজ, আব্দুল হান্নানের ছেলে আরিফুল, মুকুলের ছেলে উজ্জল, নাজিমুদ্দিনের ছেলে আওয়াল, মিনাজ, জয়নাল মন্ডলের ছেলে সেন্টু, সারোয়ার, মৃত কেরামত আলীর ছেলে মকে ওরফে মুকুল, আফসারের ছেলে সফল। এ গ্রামের মোট ১০ জন কৃষক ১৫ বিঘা জমিতে ব্রি-এসএল এইট এইচ জাতের সুপার হাইব্রিড ধান চাষ করেছে।