আলমডাঙ্গার রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারিদের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। ঢাকা কিংবা খুলনায় যেতে হলে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। অধিক টাকা দিলে স্টেশনের কাউন্টারের টিকিট মিলছে স্টেশনের নিচে চা, ছেলুন ও হোটেলে। এছাড়াও জাল টিকিট ক্রয় করে অনেকে জরিমানার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার রেল স্টেশনে টিকিট সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগে থেকেই স্টেশনের কাউন্টার থেকে নামে-বেনামে টিকিট কেটে যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন কর্মকান্ড চলে আসলেও বিষয়টি দেখার কেউ নেই। টিকিট সিন্ডিকেটের কারণে প্রতি নিয়ত যাত্রীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।
গত বৃহস্পতিবার কামালপুরের ডাবলু রহমানের ছেলে হাসান রাতের সন্দরবন ট্রেনে ঢাকায় যাবার জন্য স্টেশনে টিকিট কিনতে যায়। স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে সে নীচে চায়ের দোকানদার ইদবার আলীর কাছ থেকে ৩শ’ ৭৫ টাকার টিকিট ৮শ’ টাকা দিয়ে ক্রয় করে।
রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যায়। ট্রেন উল্লাপাড়া স্টেশনে পৌছালে ট্রেনের চেকার টিকিট চেক করতে এসে হাসানের কাছে থাকা জাল টিকিট শনাক্ত করেন। পরে জরিমানাসহ খুলনা থেকে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করে হাসান। ফিরে এসে বিষয়টি এলাকার যুবকদের জানালে তারা চা দোকানি টিকিট সিন্ডিকেটের সদস্য ইদবারকে ধরে। পরে স্টেশনে এক সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে জরিমানাসহ টিকিটের টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩-৪মাস আগেই একই ভাবে জাল টিকিট বিক্রি করে ইদবার আলী এমন কান্ড ঘটিয়েছিল। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন স্টেশন এলাকার ইদবার আলী, বিপুল, খাইরুল, ফ্লাক্সিলোড ব্যবসায়ী শাহিনসহ অনেকেই টিকিট সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।
তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।