আলমডাঙ্গার শ্রীরামপুরে এক কিশোরীকে তার সৎ পিতা আতিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই কিশোরীর পরিবারকে না জানিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানায় আপোশ মিমাংসের চেস্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কিশোরী তার সৎ পিতার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান গত ৭ বছর পূর্বে একই গ্রামের সেলিনা খাতুনের সাথে বিবাহ করে। সেলিনা খাতুনের ইতিপূর্বে দাম্পত্য সংসারে কিশোরী একটি মেয়ে আছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে সেলিনা খাতুন পাশের বাড়িতে যায়। কিশোরীর সৎ পিতা বাড়ি ফাঁকা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। কিশোরী তার সৎ পিতার নিকট থেকে ছাড়া পেয়ে প্রতিবেশিদের নিকট ছুটে যায়। পরে রাতে কিশোরীর মা সেলিনা খাতুন বাড়ি ফিরলে সৎ পিতার জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ইতিপূর্বে ওই কিশোরীর গত ৬ মাস পূর্বে পোড়াদহ কামারডাঙ্গায় অটো চালকের সাথে বিবাহ হয়।
কিশোরীর মা সেলিনা খাতুন বলে, বৃহস্পতিবার রাতে সে প্রতিবেশিদের বাড়িতে যায়। এসময় বাড়ি ফাঁকা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তার কিশোরী মেয়েকে।
এ ঘটনায় প্রতিবেশি লাল্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে আতিয়ার নামে ওই কিশোরীর সৎ পিতা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সামাজিক ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ২০ হাজার টাকা ধর্ষণের ঘটনায় জরিমানার অভিযোগ সত্য নয়। সেলিনা খাতুনের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা নেয় আতিয়ার। ওই টাকা ফেরৎ দিতে চেয়েছে আতিয়ার।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এমন ঘটনায় অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।