আলমডাঙ্গার জোরগাছা গ্রামে সরকারি রাস্তার জমি দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডারের পাঁকা রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাস্তার জমি না দিতে মরিয়া দু,টি পক্ষ। স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্বারক লিপি দিয়েও মিলছে না সুরাহ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জোরগাছা গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম সরোয়ার , একই গ্রামের সফি উদ্দিন সরকারি রাস্তার জমি দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে।
ওই রাস্তার মোট জমির প্রস্ত ২৪ ফিট। যা সম্পূর্ণ সড়ক ও জনপথ এলজিইডির আওতাধীন। বিগত রাস্তাটি হেরিং হওয়ার সুযোগে গোলাম সরোয়ার ও সফি উদ্দিন ঘর নির্মাণ করে।
বর্তমানে রাস্তাটি জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য ১২ মিটার পাকা করণের কাজ শুরু হয়। এতে বিপত্তি সৃষ্টি হয় এলাকাবাসী।
রাস্তার মোট ২৪ ফিট জায়গার মধ্যে গোলাম সরেয়ারের বাড়ি-ঘরে দখল করেছে ৫ ফিট ও সফির ঘরের মধ্যে ৩ ফিট জায়গা রয়েছে। অবশিষ্ট জমি রাস্তার থাকলেও তা সড়ক নির্মাণের জন্য বাঁধা প্রদান করে আসছে। এতে রাস্তা নির্মাণ কাজের ব্যাঘাত পোহাত হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
দফায় দফায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে। সুরাহ না মেলায় এলাকাবাসীর গণসাক্ষরিত অভিযোগ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুরের নিকট। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঘটতে পারে সাংঘর্ষিক ঘটনা।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর জানান, সরকারি রাস্তার জমি দখলের অভিযোগে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ করেছে।
তিনি আরো জানান, সরকারি জমি দখলের কোন সুযোগ নেই। জমি যদি দখল করে থাকে তাহলে তাদের অবশ্যই দখলকৃত জমি ছেড়ে দিতে হবে।