আলমডাঙ্গার হাটখোলা পাঁচলিয়ায় সাপের কামড়ে ১০ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টানা ৭ ঘন্টা কবিরাজের অপচিকিৎসা (ঝাড়ফুঁকে)র কারণেই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, দাবি এলাকাবাসীর। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের হাটখোলা পাঁচলিয়া গ্রামে ঘটেছে। স্কুলছাত্রী ওই গ্রামের টাইলস মিস্ত্রী শরিফুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল স্কুলছাত্রী ঐশী খাতুন (১৫)। ঘুমন্ত অবস্থায় প্রায় রাত ১১ টায় একটি বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। এরপর ঐশী ছটফট করতে থাকে। পরিবারের লোকজন জানতে পেরে স্থানীয় কবিরাজকে খবর দেয়। ওই স্কুলছাত্রীর মামা আজব আলিসহ কয়েকজন কবিরাজ কয়েক ঘন্টাব্যাপী ঝাড়ফুঁক ও হাত চালানের মাধ্যমে বিষ অপসরণের চেষ্টা চালায়। আজ শুক্রবার শেষ রাতে ওই স্কুলছাত্রীর শরীর থেকে বিষ বের করতে সক্ষম হয় বলে দাবি করেন কবিরাজেরা। দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির বিপরীতে অবনতি হয়। ততক্ষণে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে পরিবারের লোকজন ওই স্কুলছাত্রীকে ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, স্কুলছাত্রী ঐশি আর বেঁচে নেই।
জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং (ইউপি) সদস্য মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বাড়ি আমার ওয়ার্ডে। সাপের কামড়ে মেয়েটি মারা গেছে। ঘটনার পর থেকেই ঝাড়ফুঁক করা হয়। গ্রামের মানুষ সচেতন নয়। রাতেই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। নেওয়া উচিত ছিল।