আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হারদী মীর সামছদ্দীন আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মি সভার আয়োজন করা হয়।
কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,আওয়ামী লীগ হলো উন্নয়নের সরকার।আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আর বিএনপি হলো অগ্নি সন্ত্রাসের দল। দেশে কোন উন্নয়ন তারা করেনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তারা সন্ত্রাসীদের লালন পালন করেছে। মানুষ ঘরে ঘুমাতে পারেনি। গরু বিক্রি করা টাকা সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে।
রাত বাহিনীর লোকজনকে বাড়ির ছাগল মুরগি জবাই করে খেতে দিতে হয়েছে। চাঁদা দিতে হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ দুূর্বিসহ জীবন কাটিয়েছে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় আমাদের নেত্রীকে হত্যার জন্য আর্জেস গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। এই বোমা বাইরে পাওয়া যায়না। আপনারা আপনাদের লোককে এই বোমা সরবরাহ করেছেন। আল্লাহ’র রহমতে সেদিন নেত্রী প্রাণে বেঁচে গেছে। দেশের মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। দেশের কোন উন্নয়ন করেননি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই সন্ত্রাস দমন করেছে। তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছিলেন সন্ত্রাসীরা যদি মাটির নীচে থাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে আসবো। আজকে সন্ত্রাস দমন করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। মানুষ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। ফের যদি বিএনপি কোন ভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে ওই সন্ত্রাসীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। মানুষকে আবারও বিপদগ্রস্ত হতে হবে। সেজন্য এই কথাগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ১৫ বছরে দেশের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছে,তা আর কেউ করে নাই। আমাদের সরকারের আমলে, সারের জন্য কৃষককে লাইন দিতে হয়না। গুলি খেয়ে মরতে হয়না। গ্রামে গ্রামে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রী ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। যে ক্লিনিক বিএনপির আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আজ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে,কর্ণফুলি ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে,মেট্রোরেল চালু হয়েছে। মানুষ সুবিধা ভোগ করছে। প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ,মসজিদ মাদ্রাসা, ইলেকট্রিসিটিসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।
আজকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। নৌকা প্রতিককে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে।
হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টুর সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়াদ্দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদব শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শওকত আলী,আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, হারদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আইনাল হক, আলমডাঙ্গা উপজেলা সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, পৌর যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু,কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হক মিকা,ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান,ডাউকি ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম।
সাংগঠিনক সম্পাদক হেলাল মাণ্টারের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন হারদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুর রউফ শিলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মোহাম্মদ জোয়ার্দ্দার,ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোমেনা খাতুন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মোহাম্মদ,বীর মুক্তিযোদাধা মারফত আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান,আওয়ামীলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বেল্টু,মজিবুর রহমান,ময়নাল ইসলাম,মিন্টু,আব্দুল গাফ্ফার,তানসেন আলী ফারুক হোসেন টিপু প্রমুখ।