আলমডাঙ্গায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির মহা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ দলটির। তবে পুলিশ বলছে, পূর্বের সুনির্দিষ্ট মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরিফুজ্জামান শরিফ অভিযোগ করে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাবেশকে ঘিরে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। এ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যেতে না পারে, সেকারণেই মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে। এ সময় দুই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারি সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান বকুল (৫৩), সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন (৪০) , ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আতাউল হুদা (৪৫) , বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ওবাইদুল ইসলাম ঝন্টু (৪৩) , লুৎফর রহমান টিটু (৫০) , ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও চিকিৎসক এ কে এম নাজমুস সালেহীন লিপন (৪১) , জেহালা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সমসের আলী ছমে (৪৭), জামজামি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মজিবর রহমান (৫৫), খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ফতে আলী (৬০), ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বাদশা আলম (৬০), আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য জনি (২৮)।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন বলেন , মহাসমাবেশ বাঁধাগ্রস্ত করতে অপকৌশল নিয়েছে সরকার। তারা দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। মিথ্যে মামলায় ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) একরামুল হোসেন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় আটকৃতদের গতকাল বুধবার দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।