আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ি গ্রামে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে এক করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তি গলাঁয় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুর রাজ্জাক আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি গ্রামের হঠাৎপাড়ার শাহাজুদ্দিনের ছেলে। তিনি কৃষি কাজের পাশাপাশি গরুর ব্যবসা করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক গত কয়েক দিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ১৬ জুন র্যাপিড টেস্টে তার করোনা পজিটিভ হয়।
এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর আব্দুর রাজ্জাক ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন।
বাড়িতে আসার পর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করে দেন। এতে গ্রামের অন্যান্য মানুষের কটূক্তি ও সামাজিক হেয়পতিপন্ন নানা ধরণের কথা বলেন। এছাড়াও পরিবারের লোকজন আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি মূলক কথা বলে। করোনায় আক্রান্তের পরও সামাজিক ও পারিবারিক কটূক্তি কথা বলায় অভিমানে সে নিজ বাড়িতে গলাঁয় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। সকালেই পরিবারের লোকজন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার বিষয়টি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে দাফনের অনুমতি প্রদান করেন।
আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, গত কয়েক দিন পূর্বে আমার স্বামী ঠাণ্ডা -জ্বরে ভুগছিলো। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে তাকে র্যাপিড টেস্ট করানো হলে করোনা পজেটিভ আসে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে আসার পর আমরা সবাই তার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম।তিনি দাবি করেন, আমার স্বামী হাসপাতালে থাকলে আত্মহত্যা করতেন না। এলাকার লোকজন আমাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরণের কটূক্তি মূলক কথা বলায় সে অভিমানে আত্নহত্যা করেছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, সকালে গড়গড়ি গ্রামে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। তাই সে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।