আলমডাঙ্গা উপজেলার মাঠ এখন হলুদ রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে। প্রকৃতি তার অপরূপে সেজেছে গ্রামীণ জনপদের মাঠ। হলুদ সরিষার খেত গুলো যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমন ধান ওঠার পর হলদে খেতগুলোতে এখন মৌমাছির রাজত্ব। সেই ফুলে মুগ্ধ মৌমাছিরা গুঞ্জন তুলে ফুলে ফুলে পান করছে মধু। তবে হাসিমূখে আবাদি ফসল ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকেরা।
গত বছরের তুলনায় এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা চাষে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকেরা খুশি থাকলেও বাজার দর নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত রয়েছে। তারপরও ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে গ্রামীণ জনপদের কৃষকেরা।
আলমডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষি বিভাগ প্রণোদনা দেওয়ায় এবার আবাদ বেশি হয়েছে। এবছর ২ হাজার ৪ শত ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।
ডাউকি ইউনিয়নের মাজু ব্লক সুপারভাইজার রফিকুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলে ২ শত ৫৬ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সরিষা চাষ বেড়েছে। এবছর সরকারিভাবে বিঘা প্রতি জমিতে ১ কেজি সরিষা বীজের সাথে ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনার মাধ্যমে দিয়েছে।
খাদেমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অধিদফতরের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের সরিষার বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ কারণে এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা ফলন ভালো হয়েছে। সরিষা আবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। কোনো সমস্যা হলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছেন। কিছুদিনের মধ্যেই আবাদি সরিষা ঘরে তুলতে পারবো।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রেহানা পারভিন জানান, সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছর ১ হাজার ১শ ৫২ হেক্টর জমির কৃষকদের সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। ফলন ভালো পেতে তাঁরা নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন।