আলমডাঙ্গায় মিজানুর রহমান নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কোটি টাকা নিয়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ব্যবসায়ীক সূত্রে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যক্তির নিকট থেকে এই টাকা নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সংবাদটি লেখাপর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছিল।
অভিযুক্ত কাঁচামাল ব্যবসায়ী পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের ভেদামারী গ্রামে। তাঁর পৌরসভার তহবাজার এলাকার শেডে কাঁচামালের ব্যবসা রয়েছে। সম্প্রতি মিজানুর রহমান তাঁর ব্যবসায়ীক দোকান বন্ধ করে এনজিও ও ব্যবসায়ীকদের নিকট থেকে কোটি টাকা নিয়ে বিদেশ যাওয়ায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ‘মিজানুরের সঙ্গে অনেকের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি কাঁচামালের ব্যবসা বাবদ ১০-১২ জনের নিকট থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমেও অর্ধ কোটি টাকা নিয়েছে বলেও জানাগেছে। মিজানুর কোটির উর্ধে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ায় এক এনজিও তাঁর দোকান দখলে নিয়েছে। ধার বাবদ টাকা নেওয়া অনেকে হতাশা হয়ে পড়েছে।
মিজানুর রহমান ব্যবসায়ী রব আলীর নিকট থেকে সাড়ে ৯ লাখ, তোতা মিয়ার নিকট থেকে সাড়ে ৬ লাখ, পিঁয়াজ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার, আরেক ব্যবসায়ী নুহু ২ লাখ ৫০ হাজার, মহন সর্দ্দারের নিকট থেকে ২ লাখ, রবির নিকট থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার, কাঁচামাল ব্যবসায়ী আজিজুল হকের নিকট থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার, ময়দার মিল মালিক বাবুর নিকট ২ লাখ ৮০ হাজার। এছাড়া স্থানীয় আশার আলো সহ বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোন নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।