বিয়ের দাবিতে চাচাশ্বশুরের বাড়িতে দু’দিন ধরে অনশনে বসেছেন গৃহবধূ সামসুর নাহার (২৭)। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন ওই নারী। তবে অনশনের খবর পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন চাচাশ্বশুর রুহুল আমিন (৩৭)।
গতকাল রবিবার রাত ১০ টা থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বেলগাছি পূর্বপাড়া গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সামসুর নাহার।
স্থানীয়রা জানান, সামসুর নাহার বেলগাছি বাজার এলাকার প্রবাসী শরিফুল ইসলামের সাথে পারিবারিক বিয়ে হয় তার। দাম্পত্য জীবনে তাদের স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।
সামসুর নাহারের স্বামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ায় চাচাশশুর সুবাদে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। সম্পর্কে রুহুল আমিন সামসুর নাহারের চাচাশ্বশুর। এক পর্যায়ে সামসুর নাহার ও রুহুল আমিনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ৩ দিন আগে গভীর রাতে বাড়ির পেছনে রুহুল আমিনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয় সামসুর নাহারের। স্ত্রীর অবৈধ এমন মেলামেশা নিজ চোখে দেখে ফেলেন স্বামী শরিফুল ইসলাম। ইতিপূর্বে তাদের অবৈধ সম্পর্কে মেলামেশার আগে তার স্বামী শরিফুলকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াত সামসুর নাহার। পরে স্ত্রীর সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে জানান তিনি।
এ ঘটনার পর সামসুর নাহার বিয়ের দাবিতে চাচাশ্বশুর রুহুল আমিনের বাড়িতে অনশনে বসেন। এ ঘটনার পর থেকে রুহুল আমিন পলাতক।
সামসুর নাহার বলেন, রুহুল সম্পর্কে আমার চাচাশ্বশুর। প্রেমের ফাঁদে ফেলে তিনি আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। বিষয়টি আমার স্বামী নিজ চোখে দেখেছেন। তাই আমার সংসার ভেঙে গেছে। বিষয়টি সে নিজেও জানে। তার কথা মতেই আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে বিয়ের জন্য এসেছি। সে ফাঁকি দিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। সেকারণে এখন আমি বিয়ের দাবিতে রুহুলের বাড়িতে অনশন করছি। বিয়ে না করলে তার ঘরেই আত্মহত্যা করবো।
রুহুলের বড় বোন বলেন, বিয়ের জন্য গতকাল রবিবার রাত থেকে আমাদের ঘরে অবস্থান করছেন সামসুর নাহার। আমার ভায়ের বউ ও ছেলে রয়েছে। সে ঢাকাতে ঠিকাদারি কাজ করেন। সামসুর নাহার ফাঁদে ফেলে এখন বিয়ের জন্য বসে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার ভাই বাড়িতে না আসায় এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। মেয়েটিকে নিয়ে এখন আমরা বিপদে আছি।