আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা জাতীয় গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে আলমডাঙ্গা ফুটবল মাঠে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন।
তিনি বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমরা উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ড কাপ খেলা অনুষ্টিত হয়েছে। করোনার কারনে আমরা এ বছর অনেক কিছু সংকুচিত করেছি। বঙ্গবন্ধু নিজেও ফুটবল খেলতেন, শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়া চক্র গঠন করে বাংলদেশে ফুটবলের উন্নয়ন করেছে। বর্তমানে স্কুল পর্যায় থেকে কলেজ পর্যায় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধ, বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ খেলার প্রচলন শুরু হওয়া, ছেলে, মেয়ে উভয়েই খেলার সুযোগ পাচ্ছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলা ধুলার বিকল্প নেই। খেলায় পুরস্কার বিতরনী সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে, আলমডাঙ্গা পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সালমুন আহম্মদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সহকারি কমিশনার ভুমি হুমায়ন কবির, ওসি তদন্ত সেলিম, কালিদাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, ভাংবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার আহম্মদ বাবলু, পৌরসভার কাউন্সিলর খন্দকার মজিবুল হক, খাদিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য আজকের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলায় দুই দলের নাম রাখা হয়,শহীদ টগর ও শহীদ নান্নু।জাতীয় গোল্ড কাপ অনুর্ধ -১৭ বালক গ্রুপের ফাইনাল খেলা ভাংবাড়ীয় ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন (শহীদ টগর) বনাম খাদিমপুর ইউনিয় (শহীদ নান্নু),খেলায় ভাংবাড়ী ইউনিয়ন জয়লাভ করে।খেলার প্রথময়ার্ধে গোল শুন্য খেলা শেষ হয়।দ্বীতিয়ার্ধে ২০ মিনিটের দিকে ভাংবাড়ীয়ার খেলোয়াড় ১ টি গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। লাইন্স ম্যান হটাৎ অবসাইট ধরলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়,পরে রেফারির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করে কমিটি খাদিমপুর দলকে খেলায় ফিরে আসতে অনুরোধ করলে আবারও খেলা শুরু হয়,কিন্ত গোল পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায় ভাংবাড়ীয়া ইউপি ফুটবল দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।। খেলায়, রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন মুনছুর আলী,সোহাগ আলী,হাসান আলী,মহসীন কামাল ও আবুল হোসেন।উল্লেখ্য ২টি সেমি ফাইনাল খেলায় ম্যান অব-দ্যা ম্যাচের পুরস্কার দেন মন্ডল স্পটস।এবং ২ টি খেলায় সেরা দর্শকের পুরস্কার দেন বনিক সমিতির সম্পাদক কামাল হোসেন।এ ছাড়াও ফাইনাল খেলায় সেরা খেলোয়াড়,সেরা দর্শক,রেফারি সহ ঘোষকদেরও, প্রধান অতিথি পুরস্কার তুলে দেন।