আলমডাঙ্গা শহরের লালব্রিজের অদূরে অসাবধানতায় ট্রেনের ধাক্কায় হৃদয় (১৩) নামে এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করেন।
সোমবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে ছেড়ে আসা লোকাল নকশিকাথা ট্রেনে এদূর্ঘটনা ঘটে।
আহত হৃদয় গাইবান্ধা জেলার আইনাল হকের ছেলে। সে বড় চাচা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে লালব্রিজের নিকট থাকে। হৃদয় আলমডাঙ্গা পৌরসভার উন্নয়ন কাজ প্রজেক্টের ড্রেনের মিস্ত্রী হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে লালব্রিজের পাশেই তাবু টানিয়ে বসবাস করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ট্রেনের যাত্রী চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের ইংরেজি প্রভাষক সাদিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেনযোগে কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসছিলাম। আলমডাঙ্গা শহরে লালব্রিজের অদূরে পৌছালে রেললাইনের উপর বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে সেলফি তুলছিল ওই কিশোর।
ট্রেনটি দূর থেকে হর্ণ দিলেও কিশোর টের পাইনি। ট্রেনের ধাক্কায় দূরে ছিটলে পড়ে। পরে ট্রেনটি একটু দূরে থেমে যায়। ট্রেন থেকে নেমে ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা কিশোরকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায়। প্রায় ৩০ মিনিট পর ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার মুজিবুল হক বলেন, হৃদয় টিকটক ভিডিও করে। রেললাইনের পাশে, ট্রেন আসার সময়, লালব্রিজে উঠেও সেলফি, টিকটক করে। ড্রেনের কাজে জোয়ালে হিসেবে কর্মরত ছিল। লালব্রিজের নিকট তাবু টানিয়ে থাকে তারা। হয়তো বিকেলে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার সময় এদূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রেললাইনের উপর বসে হেডফোনে গান শুনছিল। অসাবধানতায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া পাঠানো হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, কিশোরের মাথায় প্রচণ্ড আঘাত হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সাথে বমিও করছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশরাফুল আলম বলেন, হৃদয় শঙ্কামুক্ত নয়। মাথায় ইনজুরি হয়েছে। চার হাত-পা নাড়াতে পারছেনা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।