আলমডাঙ্গা পাইকপাড়া গ্রামে প্রতিবেশির তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে আহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুরগী খুজতে গেলে তাকে জোর করে বাড়ির অদূরে একটি মাঠের শ্যালোমেশিন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে জানিয়ে ধর্ষিতার পরিবার। রাতেই তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের দরিদ্র দিনমজুরের ওই শিশু কন্যা (৯) বাড়ির পাশে মাঠে খেলা শেষে মুরগী খুজতে বের হয়। এ সময় প্রতিবেশি মারফত আলীর ছেলে আহম্মদ আলী মুরগী ধরে দেবার নাম করে ওই শিশুটিকে বাড়ির পাশে একটি শ্যালোমেশিনের ঘরে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করে।
তারপর ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্যও ওই শিশুকে শাসিয়ে দেয় ধর্ষক আহম্মেদ আলী। পরে ওই শিশু কন্যা বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা রাত ১১টার দিকে ভর্তি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: আবু এহসান মো: ওয়াহেদ রাজু জানান, রাত ১১টার কিছুটা পর আমরা ওই শিশুটিকে ভর্তি করে নেই।
তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এ দিকে, পাইকপাড়া গ্রামে তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। তারা ঘটনার পরই ধর্ষক আহম্মেদ আলীকে আটকের চেষ্টা করলে সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর পরই ধর্ষক আহাম্মদ আলীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই ধর্ষক আইনের আওতায় আসবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি: