চলমান অস্থিরতায় আলমডাঙ্গা থানা ও ট্রাফিক ব্যবস্থার নিরাপত্তায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয় থেকে আজ বুধবার সকাল থেকে থানায় ও ট্রাফিকের দায়িত্বপালন করছেন ১৯ জন আনসার সদস্য। দেশের এ পরিস্থিতিতে, দায়িত্ব পালন করতে পারায় আনন্দিত আনসার বাহিনীরা। এতে স্বাভাবিক হতে চলেছে সাধারণ মানুষের জিবনযাপন। প্রথম পর্যায়ে আলমডাঙ্গা থানায় শিডিউল অনুযায়ী থানায় ১০ জন, পশু হাটে ৪ জন ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কবলে পড়ে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার দেশ ছেড়ে পালানোর পরপরই দেশজুড়ে ছাত্ররা উল্লাসে ভেসে ওঠেন। এরই একপর্যায়ে দুবৃত্তরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আলমডাঙ্গাতেও উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এছাড়া এ উপজেলার প্রায় ১৫ টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে হামলা চালানো হয় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকমীদের বসতবাড়িতে। হামলা থেকে বাঁচার তাগিদে পালিয়ে রয়েছে আওয়ামীলীগের হাজারো নেতাকমী।
এদিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরাও আওয়ামীলীগের সভাপতি কিংবা সেক্রেটারি দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁরা পরিবার ছেড়ে আত্নগোপনে চলে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বন্ধরয়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের । জন্মনিবন্ধন ও নাগরিক সনদ মিলছে না ইউনিয়ন পরিষদে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা আজিজুল হাকিম জানান, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের নির্দেশে থানায় ও ট্রাফিকে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে।