আলমডাঙ্গায় বিভিন্ন কমদামের নকল ব্যান্ডরোল ব্যাবহারের কারণে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেল আকিজ বিড়ি,নাসির বিড়ি সহ নামি দামি কোম্পানির বিড়ি নকল করে, নকল ব্যান্ড রোল ব্যাবহার করার কারনে ভোক্তা সাধারণ বাধ্য হয়ে নকল বিড়ি পান করতে ব্যাধ্য হচ্ছে।
আলমডাঙ্গা বাজার, মুন্সি গঞ্জ বাজার, হাটবোয়ালিয়া, জামজামি বাজার সহ সকল বাজারে ছোট, বড় দোকানে নকল বিড়িতে ছেয়ে গেছে।
নকল বিড়ি দেখে বোঝার উপায় নেই, যে এটা নকল না আসল। নকল কোম্পানি গুলো এমন ভাবে ব্যান্ড রোলের সিল মেরে দিচ্ছি, তাতে দোকান দাররা পর্যন্ত ধরতে পারছে না, এ ছাড়াও কিছু অসাধু ব্যাবসায়ি আছে যারা কম দামে নকল বিড়ি কিনি বেশি দামে বিক্রয় করছে। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী এই প্রতিবেদক কে জানান, যে সমস্ত অসাধু ব্যাবসায়ি নকল ব্যান্ডরোল ব্যাবহার করে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে তাদের বিরুদ্ধ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে, এ ব্যাপারে অচিরেই অভিযান চালাবেন বলে জানান।
সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। নকল ব্যান্ড রোল গুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য আলী, সাথী, লতা, মোহীনি, স্টার, তপু, তামিম, আনোয়ার, মন্টু, মজনু, কল্পনা, এই সব বিড়ির ব্যান্ডরোল নকল ছাপান।
বিভিন্ন বাজারে এরা ডিলারের মাধ্যমে নকল বিড়ি ভোক্তাদের কাছে সরবরাহ করছে। যার ফলে প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তা সাধারণ ও সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে কয়েকটি দোকানদারের সাথে কথা বললে তারা জানান ঘটনা সত্য, জামজমির দোকানদার রাকিব উদ্দিন, ছত্রপাড়ার শাহারুল, ভাংবাড়িয়ার মিজান, মুকুল, সালাম জানান আমরা নকল বিড়ি ব্যাবসায়িদের কারনে অতিষ্ট।
তারা নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে আমাদের কে বিপদে ফেলছে। ভোক্তাদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে, আলমডাঙ্গা হাউসপুরের কালাম, জামজামির তাহাজ উদ্দিন, ডাউকির আবুল, সাহিন সকলেই নকল বিড়ির বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন আমরা তো আকিজ, নাসির বিড়ি কিনছি, কিন্ত এই বিড়ি যে নকল, না আসল বোঝার উপায় থাকে না, তবে ব্যান্ডরোল ভাল ভাবে দেখলে বোঝা যায় আসল না নকল।
তারা নকল বিড়ি ব্যাবসায়িদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি