কানের দুল চুরি করাকে কেন্দ্র করে মরিয়ম নামের এক শিশুকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মাদারহুদা উত্তরপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ শিশুর লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। শিশু মহিয়ম হত্যার ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। ছোট মেয়েকে অকাল মৃত্যুতে মোর্চা যাচ্ছে তার মা।
এলাকাসূত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের মাদারহুদা উত্তরপাড়ার কৃষক খাইরুল ইসলামে ৩ সন্তানের ছোট মেয়ে মরিয়ম। শিশুটি মাদারহুদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশে খেলা করছিলো শিশু মরিয়ম। দুপুরে গোসলের জন্য তার মা তাকে খুঁজতে থাকে। খুঁজে না পেলে এলাকার সাধারণ মানুষ মাঠ, বাগান ও বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। দুপুর থেকে বিকেল পার হলেও শিশুর সন্ধান না পাওয়ায় এলাকার মসজিদে শিশু মরিয়মকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এমন সংবাদ প্রচার করা হয়।
এ খবর পেয়ে গ্রামবাসী বিভিন্ন পুকুরে শিশুর খোঁজে জাল দিয়ে ও পানিতে ডুব দিয়ে খুজতে থাকে। এসময় পুকুরের পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় রওশন আরা নামের শিশু মরিয়মের চাচির পায়ে বাঁধে। শিশু মরিয়মকে পানিতে তুলে আনলে এলাকাজুড়ে হৈচৈ সৃষ্টি হয়।
শিশু মরিয়মের দাদি জানায়, মরিয়ম নিখোঁজ হওয়ার পূর্বে তার কানে স্বর্ণের দুল ছিলো। লাশ উদ্ধারের পর তার কানে কোন দুল পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, আমার নাতনিকে কেনো কানের দুলের জন্য হত্যা করা হলো। অপহরণ করলেও তো জমি জায়গা বিক্রয় করে আমার নাতনিকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতাম।
রওশন আরা বলেন, বিকেলে গ্রামের অনেক লোকজন মিলে পুকুরের পানিতে খুঁজতে নামি। পুকুরের পানিতে হাটতে হাটতে পায়ে বাধে।তুলে দেখি মরিয়মের মৃত দেহ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, রাতে একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি কানে মরিয়মের কানে স্বর্ণের দুটি দুল পাওয়া যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এঘটনায় এখনো পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ।