নিখোঁজের ১১ দিন পর আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ার মুদি দোকান কর্মচারী গোলাম মোস্তফা (২২ )’র অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়েছে। পাশ্ববর্তী বাঁশবাড়িয়ার মাথাভাঙ্গা নদীর ফেরিঘাট নামক স্থান থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ লাশ উদ্ধার হয়। লাশের স্বজনরা নিখোঁজ গোলাম মোস্তফার লাশ বলে সনাক্ত করেন। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ।
নিহত যুবক গোলাম মোস্তফা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের মোড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে সন্ধ্যায় ওই যুবকের স্বজনরা রাতে থানায় মামলা দায়ের প্রক্রীয়া শুরু করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া বাজারে জাহাঙ্গীর আলমের জননী স্টোর নামের একটি মুদি দোকানে গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। গত (১৪ আগস্ট) সোমবার রাত ৯ টার দিকে সে বাই সাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত গভীর হলেও গোলাম মোস্তফা বাড়ি না ফিরলে তার মা দোকান মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে বিষয়টি জানায়। ওই দিন রাতেই খুঁজাখুঁজি করেন দোকান মালিক ও মোস্তফার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে ওই যুবকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হাটবোয়ালিয়া বাজারের চার রাস্তার মোড় থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরের দিন বাজারের পাশেই, মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার বাই সাইকেল উদ্ধার করে এলাকাবাসী। দোকান কর্মচারী গোলাম মোস্তফা নিখোঁজের পর জানা যায় দোকান মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছ থেকে প্রয়োজনে মোস্তফা ধার বাবদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। জাহাঙ্গীর হোসেন সে সময় জানিয়েছিলেন ধারের টাকা আত্মসাতের জন্য সে আত্নগোপন করেছে। এদিকে নিখোঁজ মোস্তফাকে অনেক খুঁজেও তাকে না পেয়ে একপর্যায়ে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়রি করেন নিখোঁজ মোস্তফার বড় ভাই ইউনুচ আলি।
এরই এক পর্যায়ে গতকাল বহস্পতিবার দুপুরের দিকে বাঁশবাড়িয়া মাথাভাঙ্গা নদীর ফেরিঘাট সংলগ্নস্থানে নৌকার পারাপারের সময় দুর্গন্ধময় বস্তু ভেসে থাকতে দেখেন লোকজন। কাছে গিয়ে মাথা নীচের দিকে অর্ধগলিত এক যুবকের
মরদেহ দেখতে পান তারা। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। পরে নিখোঁজ দোকান কর্মচারী গোলাম মোস্তাফার লাশ বলে তার স্বজনরা সনাক্ত করেন।