আলমডাঙ্গায় ছোট ভাইকে প্রতারণা করে আপন বড় ভাই নিজের নামে সম্পত্তি ও দোকান হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবারে রাতে এ অভিযোগ তুলে হাউসপুর গ্রামের আনসার আলির ছেলে আব্দুল মান্নান সাংবাদিকের নিকট লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করেন।
আব্দুল মান্নান তার লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের নিকট বলেন, ২০০৪ সালে আব্দুল মান্নানের বয়স যখন ১৫/১৬ বছর সে সময় তার দাদা মরহুম নিয়ামুদ্দীন আব্দুল মান্নান ও তার বড় ভাই আব্দুল হান্নানকে শহরের একটি দোকান ও কিছু জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।
কলেজপাড়ার মামুনুর রশিদের বাসায় বসে সেই জমির দলিল সম্পাদন করেন বাদেমাজু গ্রামের দলিল লেখক ইউনুস আলী। সে সময় আব্দুল মান্নানের বড় ভাই আব্দুল হান্নান জমিদাতা দাদা কিয়ামদ্দীন ও ছোট ভাই আব্দুল মান্নানের অগোচরে দলিল লেখককে ম্যানেজ করে ছোট ভাইকে ফাঁকি দিয়ে শুধু নিজের নামে দলিল করিয়ে নেন।
এ প্রতারণার কথা তারা গোপন রাখেন। দাদা কিয়ামুদ্দীন বেঁচে থাকা অবধি নাতি আব্দুল হান্নানের এ চরম প্রতারণার কথা জানতে পারেন নি। এ প্রতারণার কাহিনী কঠোরভাবে গোপন রাখা হয় প্রায় ১ যুগ। ২০১৬ সালে ছোট ভাই আব্দুল মান্নান বিদেশ চলে যান।
সম্প্রতি আব্দুল মান্নান দেশে ফিরে এসে শহরের জমিতে দোকান করতে চাইলে বড় ভাই ধুরন্ধর আব্দুল হান্নানের ১ যুগ আগের প্রতারণা সামনে চলে আসে।
সে জানায় যে, দোকান ও শহরের জমি সব তার নিজের নামে। ছোট ভাই আব্দুল মান্নানের নামে দাদা কিছু দেননি। এ প্রতারণার কথা জেনে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে ছোট ভাইয়ের মাথায়।
এছাড়া, বড় ভাই আব্দুল হান্নানের সীমাহীন লোভের অনলে ছোট ভাইয়ের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বাড়ির জমি দুভাইয়ের সমান সমান হলেও বড় ভাই অর্ধেকের বেশি দখল করে বাড়ি করছেন। এমনকি বাপের নামে ৬/৭ বিঘা জমি রয়েছে, তাও বাপকে পটিয়ে বন্ধক রেখেছেন।
বড় ভাই আব্দুল হান্নানের এমন ভয়াবহ প্রতারণার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।