একটি মেয়ে নিয়ে নির্জন মাঠের ভেতর ফুঁর্তি করতে গিয়ে ফেঁসে গেছে চার যুবক। মেয়েটির সাথে চুক্তি করা হয়েছিল তাকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে। কিন্ত ফুঁর্তি শেষে তারা মেয়েটিকে দেয় ৭শ টাকা। আর শেষ পর্যন্ত এই প্রতারনার খবর পুলিশে গিয়ে গড়ায়। প্রতারক চার যুবককে জেলে যেতে হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার জামজামী গ্রামে।
পুলিশ জানায়, জামজামী গ্রামের হান্নানের ছেলে রুহুল, মোজাম্মেল মালিথার ছেলে শিপন, রবজেলের ছেলে মিরাজুল ও মতিয়ার রহমানের ছেলে সোহেল এলাকার বখাটে। তারা ফুঁর্তি করতে কালিদাসপুর গ্রামের সফিউদ্দিনের মেয়ে নাসরিনের (ছদ্মনাম) সাথে তিন হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়।
এই চুক্তিতে চার বখাটে সোমবার রাতে নাসরিনকে জামজামীর নির্জন মাঠে নিয়ে যায়। কিন্ত ফুঁর্তি শেষে চারজন নাসরিনকে টাকা দেয় ৭শ। এতে সে আপত্তি করলে মেয়েটিকে মাঠের ভেতর রেখেই তারা যার যার মত বাড়িতে চলে যায়। এবং যার যার মত সবাই তার তার বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে।
মেয়েটি এরপর পায়ে হেটে মাঠের অন্ধকার ছেড়ে জামজামী বাজারে আলোর রাস্তায় এসে পৌছে। বাজারে তার সাথে দেখা হয় এক নৈশ প্রহরীর। গভীর রাতে বাজারের রাস্তায় মেয়েটিকে একা দেখে নৈশ প্রহরী জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর সে মেয়েটিকে জামজামী পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
পুলিশ সব শুনে রাতেই বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা রুহুল, শিপন, মিরাজুল ও সোহেলকে একে একে তুলে নিয়ে আসে। ক্যাম্প মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করে। চারজনের নামে মামলা দিয়ে মঙ্গলবারে তাকে জেল হাজতে পাঠাপনো হয়েছে।