আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিএনপির সম্মেলনে পর ইফতার পার্টিতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে আ.লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসময় প্যান্ডেল সহ চেয়ার ভাংচুর করে। আহত হয় বিএনপির দুই নেতা। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৬ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলায় নাগদহ ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামে ইউপি সদস্য শাহিনের বাগান বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে ইউনিয়ন আ.লীগের দাবি, বিএনপির দু’গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আ.লীগের কোন নেতাকর্মী সেখানে যায়নি।
ইউপি সদস্য ও বিএনপির নেতা শাহিন বলেন, আমার বাগান বাড়িতে নাগদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছিল। ইফতারির সময় হলে নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই নাগদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলীর নেতৃত্বে ২০/৩০ জন আমাদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালাই।
ভাংচুর করে প্যান্ডেলসহ একশত এর অধিক চেয়ার টেবিল। আলমগীর হোসেন নামে দুই বিএনপির নেতা আহত হয়। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রায় ৫শ এর অধিক ইফতারির আয়োজন করা হয়েছিল। বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, আমি সম্মেলনে পৌছানোর আগেই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আজ নাগদহ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনের পর ইফতার পার্টির আয়োজনের সময় ইউনিয়ন আ.লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে আমাদের দুজন নেতা আহত হয়েছে। ১শ এর অধিক চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
তিনি আরও বলেন, জাতীয়তাবাদি বিএনপি বাংলাদেশের নিষিদ্ধ কোন দল না। যত প্রতিবন্ধকতা থাকুক না কেন এই সম্মেলন হবেই। দল পুনর্গঠনের কাজ চলতে থাকবে। কোন বাধা বিঘ্ন দিয়ে কেউ থামাতে পারবেনা।
এ বিষয়ে জানতে নাগদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলী বলেন, আমাদের কোন নেতাকর্মীরা এ হামলা করেনি। আমার নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও আমি তাদেরকে ফিরিয়ে দিই। মূলত বিএনপি ও যুবদলের মধ্যে গ্রুপিং এর কারণে এ হামলার ঘটনা বলে জেনেছি।
ঘোলদাড়ি ক্যাম্প পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পুলিশের অনুমতি ছাড়ায় বিএনপির কিছু কর্মীরা সম্মেলন বা মিটিং করছিলেন।
এসময় কয়েকজন দূর্বত্তরা তাদের উপর তাদের উপর হামলা চালিয়ে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। কিছু চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে তারা। আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা থানায় অভিযোগ বা মামলা করলে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।