আলমডাঙ্গায় পুকুর খননের নামে ভাটায় মাটি বিক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। এসকল মাটি নির্মিত রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করার পাশাপাশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাস্তার উপরে মাটি পড়াতে তিব্র ধুলো-বালিতে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ছে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন পর আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ পৃথক স্থানে বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে দুজনকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রায় ২০ টি ভাটা চলমান রয়েছে। এসকল ভাটার ইট তৈরির জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমানের বালি ও মাটি। এগুলো সামিল চাষের জমি ও পরিত্যক্ত পুকুর থেকে পূণরায় খননের নামে মাটি সংগ্রহ করে আসছে। এসকল মাটি পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ যানবহন।
যা গাড়ি চালকদের নেই কোন গাড়ি ও ড্রাইভিং সাইসেন্স। সরকারি বিআরটিএ অনুযায়ী ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও স্টেয়ারিং গাড়ি গুলো কৃষি কাজে ব্যবহৃত হবার কথা থাকলেও নির্দেশনা না মেনে দেদাচ্ছে চালাচ্ছে মেইন সড়ক গুলোতে। ওই গাড়িতে পরিবহনকৃত মাটি রাস্তার উপরে পড়ে ধুলোতে পরিণত হওয়ায় রাস্তায় যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও নেই না কোন পদক্ষেপ। এছাড়াও নিকটতম ভাটা মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকির সম্মূখিন হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
পথচারি আমজেদ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন মুন্সিগঞ্জে এডিবি ভাটায় মাটি পরিবহন করছে সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম। মাটি পরিবহনের গাড়িতে থাকা কাঁদায় সৃষ্টি ধুলোয় মেইন সড়কে যাতায়াত করতে হয় আতঙ্কে।
এদিকে, হারদি থেকে কুমারি পর্যন্ত মেইন রাস্তা যেনো পিজের অস্তিত হারানোর পথে। রাস্তার উপরে কাদাঁ মাটি যেনো মানুষের মৃত্যু কুপে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও কুমারি গ্রামে অবস্থিত আব্দুল মজিদের ভাটায় দেদাচ্ছে পোড়ানো হচ্ছে বনজ কাঠ।
এমন সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুরের নির্দেশে মাঠে নামেন সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ।
সোমবার দুপুরে বেলগাছি থেকে মাটি পরিবহন করার অপরাধে ভাটা মালিককে ৫০ হাজার টাকা ও মুন্সিগঞ্জের সেলিম চেয়ারম্যানের এডিবি ভাটায় মাটি পরিবহনের অপরাধে পাঁচকমলাপুর গ্রামের হায়দার আলির ছেলে মানিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাঁড়ি পুলিশের এস আই মোরসেদ আলম সহ সঙ্গিয় ফোর্স।