আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় আবাসন প্রকল্পে উন্নয়নের নামে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে বাণিজ্যিক ভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি ।
এসব বালি নামমাত্র আবাসনে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করবে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। নদীর ২০ফিট গভীর থেকে ড্রেজিং করায় নদীর পাড় ভাঙার শঙ্কা করছে এলাকাবাসী। সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের সন্নিকটে এমন বালি উত্তোলনের কর্মযোগ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, যার ঘর ও জমি নেই এমন দুস্ত পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। এমন তালিকায় উপজেলার হাটবোয়ালিয়ার মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়েই গড়ে তোলা হচ্ছে সারিবদ্ধ ১২ টি পাঁকা স্থাপনা। দ্রুত প্রধানমন্ত্রী দুস্ত পরিবারকে ঘর উপহার দিবে।
ঘর নির্মাণ আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সরাসরি দেখভাল করছে। এসব ঘরে ২ টি রুম ও একটি ডাইনিং রয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য ৫ স্ট্রেয়ারিং করে বালির প্রয়োজন হবে। যা ১২ টি ঘরে ৬০ ট্রেয়ারিং বালি প্রয়োজন।
এসুযোগে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজন বালি উত্তোলনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে মাথাভাঙ্গা নদীতে ভেড়ানো হয়েছে বালি উত্তোলনের জন্য ড্রেজিং মেশিন।
বালি মাটি আইনের ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।
তবে, ২শ’ মিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজ। ২০ মিটারের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১শ’ মিটারের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এছাড়াও বালি উত্তোলনের জায়গা থেকে প্রায় দেড়শ মিটারের মধ্যে সরকারি আবাসনের ১২ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাহিনুর রহমান জানান, সরকারি ঘরে বালির প্রয়োজন স্বার্থে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ড্রেজিং করে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিতে এ ড্রেজিং কাজ চালানো হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর জানান, বালি উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে, ঘরের জন্য কিছু বালি লাগবে। বিষয়টি দেখবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।