আলমডাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন জোয়ার্দার বাবলু হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার থানাপাড়ার নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নইলাহি রাজিউন)।
দারুস সালাম প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রিয় মার্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন হয়। জানাগেছে, আলমডাঙ্গা থানাপাড়ার মরহুম মনোয়ার হোসেন জোয়ার্দারের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেন জোয়ার্দার বাবলু ৩/৪ দিন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিল।
গতকাল রাতে প্রচণ্ড শ^াস কষ্ট অনুভব করলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার ও তার ছোট ভাই বকুল আলমডাঙ্গা ফাতেমা ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়। একটু সুস্থ হলে বাসায় নিয়ে গেলে আবারও শ^াস কষ্ট অনুভব করলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
গতকাল বাদ জোহর আলমডাঙ্গা দারুস সালাম প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রিয় মার্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিউর রহমান জোয়ার্দার সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শাহাবুদ্দিান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এম সবেদ আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদীর গনু,
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোমেন, ডাঃ একরামুল হক, ডাঃ সিরাজ উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দিপু, সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম, কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রেস ক্লাবের সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দিন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানোয়ার হোসেন মৃৃধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, সরকারি কলেজের প্রভাসক তাপস রশিদ, সহকারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী খান প্রমুখ।
মৃত্যু কালে স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।