পরকীয়া প্রেমিকা মামির সাথে বিয়ে করে দুই বছর সংসার শেষে ডিভোর্সের পর দেখা করতে এসে গণধোলাই শিকার পোলতাডাঙ্গার আলমঙ্গীর। গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে বাড়াদি ইউনিয়নের এনায়েতপুর এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের বজলু রহমানের মেয়ে চম্পা খাতুনের গত ৮ বছর পূর্বে বাড়াদি ইউনিয়নের পোলতাডাঙ্গা গ্রামে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জিবনে দুটি কণ্যা সন্তান জন্ম নেয়।বিভিন্ন সময় তাদের সাংসারিক গোলোযোগ সৃষ্টি হয়।
এ সুযোগে পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে আলমঙ্গীর মোবাইল ফোনে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ভালোবাসার টানে স্বামীর সংসার দু মেয়ে রেখে পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আলমঙ্গীরের হাত ধরে অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। বিয়ে করে ঢাকায় ২ বছর সংসার করে। গত দুই মাস পূর্বে আলমঙ্গীর ও তার পরকীয়া স্ত্রী চম্পা খাতুন নিজ গ্রামে ফিরে আসে।
পারিবারিক ভাবে ডিভোর্স দেয় দুই পক্ষ। ডিভোর্সের পর প্রেমিক আলমঙ্গীরকে ভুলে পূর্বের স্বামীর নিকট ফিরতে চায় চম্পা। পূণরায় পথের কাটা হয়ে দাড়ায় আলমঙ্গীর। আবারো চম্পাকে বিয়ে করবে বলে চম্পার প্রথম স্বামীকে মোবাইলে জানায়। এছাড়াও তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি -ধামকি প্রদান করে।
এ সূত্র ধরে গত বুধবার রাত ১১ টার দিকে মোবাইলে যোগাযোগ করে চম্পার সাথে দেখা করতে আসে। স্থানীয়রা টের পেয়ে চোর ভেবে তাকে দাঁড়াতে বললে সে দৌড়ে পালাই। লোকজন ধাওয়া করে তাকে আটকে গণধোলাই দেয়। পরবর্তীতে সে চম্পার সাথে দেখা করতে এসেছে বলে স্থানীয়দের জানায়।
বৃহস্পতিবার সকালে আলমডাঙ্গা থানার এসআই খসরু আলম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কারো অভিযোগ না থাকায় স্ব স্ব পরিবারের লিখিত মাধ্যমে আলমঙ্গীরকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।