চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রাগপুর গ্রামে অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া স্বামী আসাদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে তাকে মেহেরপুরের গাংনীর আমতলি থেকে প্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম জানান, রূপালী খাতুন হত্যা মামলার আসামি তার স্বামী আসাদুলকে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে রূপালী হত্যার প্রকৃত রহস্য। তিনি জানান, রূপালী হত্যার পর থেকে তার স্বামী আসাদুল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আমতলী এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ভোরে শোবার ঘরের মেঝেতে মা রূপালী খাতুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তার সন্তানেরা। এরপর থেকে আসাদুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। নিহত রূপালী খাতুনের পিতা রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে আসাদুলকে এক নং আসামি করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার মালিহাদ গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে রূপালী খাতুনের সাথে আলমডাঙ্গার প্রাগপুর গ্রামের রুপাঞ্জেলের ছেলে আসাদুলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রূপালীর মেজ ছেলে নয়ন ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মায়ের নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, স্বামী আসাদুল রাতের কোন এক সময় স্ত্রী রূপালী খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়। রূপালীর মৃত্যুর ঘটনায় সকাল থেকেই বাড়িতে লোকজনের ভীড় শুরু হলেও আসাদুলের কোন দেখা পাওয়া যায়নি।
সেই থেকেই আসাদুল বাড়িতে আর ফিরে আসেনি। সে পলাতক জীবন-যাপন করে আসছিল। পুলিশ আসাদুলকে আটক করতে না পারায় রূপালী খাতুন হত্যা রহস্যের জট খুলছিল না। আসাদুলকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এই হত্যা রহস্যের জট খুলবে বলে আশা করছে পুলিশ।