আলমডাঙ্গায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে বিয়ের ১০ মাস পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধি কলেজ ছাত্রী। ১০ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর কয়েক মাস আগে গোপনে কোর্ট এফিডেভিট ও কাজী দিয়ে রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করে অস্বীকার করছে স্বামী ইয়াসির আরাফাত মুন্না। মাস দেড়েক আগে স্বামী অন্যত্র বিয়ের ঘটনা জানাজানি হলে গতকাল কলেজছাত্রী স্বামীর বাড়িতে উঠে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচলিয়া মাঠপাড়ার খোয়াজ আলীর মেয়ে শারিরিক প্রতিবন্ধি কলেজছাত্রী মাথিনা খাতুন (২৪)“র সাথে ১০ বছর আগে আলমডাঙ্গা পৌর এরশাদপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ইয়াসির আরাফাত মুন্নার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
মুন্না পেশায় একজন গার্মেন্সস ব্যবসায়ী। বিয়ে না করেই মুন্না মাথিনাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বেড়াতো। আলমডাঙ্গা এরশাদপুর চাতাল মোড়ের আমিরুলের বাড়িতে বাসা ভাড়া করেও ১ বছর রেখেছিল বলে জানা গেছে।
একপর্যায়ে ৭/১/২০১৯ তারিখে চুয়াডাঙ্গা থেকে নোটারী পাবলিকের কার্যালয় হতে এফিডেভিটের মাধ্যমে ৩লাখ টাকার কাবিন করে তারা বিয়ে করে। একই দিন আইলহাস ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার ওয়াশিকুর রহমানের নিকট থেকে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে।
বিয়ের ৭/৮ মাস পর আনুষ্ঠানিক ভাবে হরিনাকুন্ড এলাকায় ইয়াসির আরাফাত মুন্না পূনরায় বিয়ে করে। ২য় বিয়ে করার পর ঘটনা জানাজানি হলে মাথিনা স্ত্রীর মর্যাদার দাবি করে। মুন্না বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করতে থাকে। ২ ডিসেম্বর সকালে মাথিনা মুন্নার বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে উঠে। মাথিনা ওই বাড়িতে উঠার সাথে সাথে তাকে বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজ করতে থাকে।
ইয়াসির আরাফাত মুন্না দাবি করেন, আমি কোর্টে গিয়ে মাথিনাকে এফিডেভিট করে বিয়ে করিনি। আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা এফিডেভিট ও কাবিননামা করেছে।
মুন্নার পিতা আব্দুল খালেক বলেন, কোর্টে কাউকে সাজিয়ে নিয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে এফিডেভিট করেছে। কাবিন নামাটাও সঠিক নয়। এফিডেভিটের স্বাক্ষর ও কাবিন নামার স্বাক্ষর মুন্নার নয়।
এবিষয়ে, নিকাহ রেজিষ্ট্রার ওয়াশিকুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৭/১/১৯ তারিখে তিনি উভয়ের সম্মতিতে তাদের বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেছেন।
সকাল থেকেই রাত অবধি এরশাদপুর গ্রামের মানুষসহ আশপাশের মানুষ ভিড় জমায় ঘটনাটি জানার জন্য মুন্নার বাড়ির সামনে। এ সংবাদ লেখাপর্যন্ত মাথিনা স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে তার স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছিল।
-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি