আলমডাঙ্গার প্রাগপুর গ্রামে অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ভোরে শোবার ঘরের মেঝেতে মা রূপালী খাতুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে তার সন্তানেরা। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মৃতের গলায় টিপে ধরার দাঁগ দেখা গেছে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে পরিস্কার বলা যাবে এটা হত্যা কি না।
জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার মালিহাদ গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে রূপালী খাতুনের সাথে আলমডাঙ্গার প্রাগপুর গ্রামের রুপাঞ্জেলের ছেলে আসাদুলের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রূপালীর মেজ ছেলে নয়ন ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মায়ের নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, স্বামী আসাদুল রাতের কোন এক সময় স্ত্রী রূপালী খাতুনকে গলা টিপে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়। রূপালীর মৃত্যুর ঘটনায় সকাল থেকেই বাড়িতে লোকজনের ভীড় শুরু হলেও আসাদুলের কোন দেখা পাওয়া যায়নি।
রূপালীর পিতা রবিউল ইসলাম জানান, গত পরশু আসাদুল মালিহাদে তার বাড়িতে গিয়ে গরুর বিচুলী কেনার জন্য কিছু টাকা দাবি করে আসে। পরদিন তিনি রূপালীর বড় ছেলে হৃদয়কে দিয়ে ২ হাজার টাকা পাঠান। তারপর দিন বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাই।
তিনি বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়েছে আসাদুল। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
প্রতিবেশীরা জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা কারনে কলহ ছিল। ঝগড়া-ঝাটিও হত। কিন্ত এই কলহ হত্যা করার মত ছিল না। তারপরও কিভাবে এবং কিসের কারনে রূপালী মারা গেলেন তা আসাদুল ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।
প্রতিবেশীরা মনে করেন, আসাদুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই কেবল প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, প্রকৃত ঘটনা জানতে আসাদুলকে আটকের চেষ্টা চলছে।