আলমডাঙ্গা পৌরসভার নওদাবন্ডবিল গ্রামে ১৪ বছর বয়সি কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষক টিক্কাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘটিত ধর্ষনের ১২ ঘন্টার মধ্যেই ধর্ষককে গ্রেফতার করলো পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন কার্যকরের দিন ১৩ অক্টোবর দিনগত রাতে প্রতিবেশী টিক্কা ওই কিশোরীকে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। এ ব্যাপারে থানায় ধর্ষনের মামলা দায়েরের পর ধর্ষক টিক্কাকে গ্রেফতারের জন্য জোর অভিযানে নামে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা পৌরসভার নওদাবন্ডবিল গ্রামের হাফিজুর রহমানের অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে রাতে বাথরুমে যেতে ঘরের বাইরে আসে। এ সময় প্রতিবেশী মিজানুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান টিক্কা মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে তার ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষন শেষে মুখ না খুলতে হুমকি দেয়। কিন্ত মেয়েটি বাড়িতে এসে ওই রাতেই তার বাবা-মাকে ঘটনা খুলে বলে।
মেয়েটির বাবা-মা রাতেই ঘটনা থানায় জানালে পুলিশ ধর্ষক টিক্কাকে আটক করতে অভিযানে নামে। তার আগেই টিক্কা ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ধর্ষিতাকে থানা হেফাজতে নিয়ে নেয়। পরদিন সকালে মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মেয়েটির জবানবন্দীও নেওয়া হয়।
তবে প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, টিক্কা ক‘বছর আগে প্রথম বিয়ে করে সংসার পেতেছিল। কিন্ত সেই বিয়ে বেশীদিন টিকেনি। পরে সে আবার বিয়ে করে। এরপরও প্রতিবেশী ওই কিশোরীর সাথে তার কথাবার্তা চলত। চুপিসারে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া ও ধর্ষনের মত ঘটনা কিভাবে ঘটল এ ব্যাপারে প্রতিবেশীরা কেউ কিছু জানাতে পারেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই সুলতানুল ইসলাম জানান, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মোবাইল ট্যাকিং করে মঙ্গলবার গভীর রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে ধর্ষক টিক্কাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল।