মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, আলেম সমাজকে হাদিস ও কোরআনের সঠিক ব্যাক্ষা সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। তাই আলেম সমাজকে আগে সময় জ্ঞান ও প্রাসঙ্গিকতা বুঝে এবং সব কিছু সঠিকভাবে জেনে তাদের দায়ীত্ব পালন করতে হবে।
মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত বিশেষ সমন্বয় সভায় সভাপতিত্বের বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই বিশেষ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সমন্বয় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইফা’র মেহেরপুর জেলার উপপরিচালক (ডিডি) আশরাফ আলী।
ইফা’র মাঠ কর্মী আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাঠ কর্মী মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এই জেলায় ইফার আওতায় ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। সঠিকভাবে তাদের ইসলামি জ্ঞান দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। এসব শিক্ষার্থীদের দায়ীত্ব পালন করতে হবে ইফার শিক্ষকদেরই।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে অনেকেই ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাই। সমাজের একজন সচেতন আলেম হিসেবে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেনো কেউ ধর্মের অপব্যক্ষা দিয়ে সমাজের মানুষকে জঙ্গিবাদের দিকে নিয়ে যেতে না পারে।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাস্ট্রের নাগরিক হিসেবে কিছু দায়ীত্ব সবাইকে পালন করতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতি, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সব ধর্মের উপর শ্রদ্ধাবান হতে হবে। কোমলমতি শিশুদের অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধাবান করে গড়ে তুলতে আপনাদের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, পুলিশ বা জেলা প্রশাসন দিয়ে মাদক নির্মুল সম্ভব নয়। তাই মাদক নির্মুলে ইফার শিক্ষককে লড়তে হবে। যারা সমাজে মাদক বিক্রি ও নেশার সাথে জড়িত তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদকের সাথে যারাই জড়িত তাদের সঠিকভাবে চিহিৃত করার জন্য ধর্মীয় নেতাদেরই এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সমাজে অনলাইন জুয়া এখন একটি ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিণত করেছে। অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান জেলা প্রশাসক। শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে যেনো তারা ফোনের খারাপ দিকগুলো পরিহার করে ভাল দিকগুলো নিতে পারে।
এই বিশেষ সমন্বয় সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পুরুষ ও নারী শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপি এই বিশেষ সমন্বয় সভায় বিভিন্ন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা মনোমুগ্ধকর ইসলামিক সঙ্গীত পরিবেশন অনুষ্ঠানের মাধুর্যতা বাড়িয়ে তোলে।