কম প্রচলিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৪ টি পদে ৩২ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করার অভিযোগ এনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামবাসী।
আশরাফপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে খোকন আলী এই অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে আশরাফপুর গ্রামের ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন।
অভিযোগে তিনি লেখেন, মেহেরপুরে আসেনা এমন দুটি প্রচলিত পত্রিকাতে গোপনে বিজ্ঞাপন দিয়ে আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর পদে ১০ লাখ টাকা চুক্তিতে জিনারুল ইসলামকে, নৈশকালিন গার্ড পদে ৮ লাখ টাকা চুক্তিতে মো: হাসান আলীকে, পরিচ্ছনতা কর্মী পদে ৭ লাখ টাকা চুক্তিতে মোছা: আখি খাতুনকে ও এমএলএসএস/ দপ্তরী পদে ৭ লাখ টাকা চুক্তিতে ইমাদুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: তাহাজ উদ্দীন যৌথভাবে এই গোপন নিয়োগ বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গ্রামবাসির পক্ষে অভিযোগকারী খোকন আলী আরো বলেন, ইতোপূর্বে প্রধান শিক্ষক মো: তাহাজ উদ্দীন বিদ্যালয়ের ফান্ডের অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে ৪ লাখ তুলে আত্মসাৎ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি নিয়ে বসে প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দীনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বিদ্যালয় ৫০ হাজার টাকা পেলেও হদিস মেলেনি বাকি সাড়ে ৩ লাখ টাকা।
মেহেরপুরের একজন সাংবাদিকের কু পরামর্শেই অপ্রচলিত পত্রিকায় (পত্রিকা দুটি মেহেরপুরে আসেনা) ১০ হাজার টাকা নিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, টাকা নিয়োগ লোক নিয়োগ করার অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কারণে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছি। পরে আবারো বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দীনের মোবাইল নম্বওে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।