ফুটবল খেলা নিয়ে রাজধানীর সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র আয়াজ হককে হত্যার ঘটনায় একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আসামিদের মধ্যে ইনজামামুন ইসলাম ওরফে জিসানকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আর তৌহিদুল ইসলাম, মশিউর রহমান আরাফ, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, আবু সালেহ মো. নাসিম ও আরিফ হোসেন রিগ্যানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে জিসান ও তৌহিদ রায়ের সময় আদালতে ছিলেন। বাকিরা পলাতক। তারা সবাই ধানমণ্ডির ঢাকা সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৯ জুন ঢাকা সিটি কলেজের প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি ও খরচ বাবদ টাকা তোলা নিয়ে আয়াজের বড় ভাই ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশদিন হকের সঙ্গে আসামিদের কথাকাটাকাটি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
ওই দিন বিকালে জিগাতলা যাত্রী ছাউনির কাছে আয়াজকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে আসামিরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আয়াজের বাবা আইনজীবী শহীদুল হক ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন।