প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুককে বিশাল অঙ্কের জরিমানা করেছে ফ্রান্স। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাদের ২১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘কুকিস’ ব্যবহারের নীতির কারণেই এ জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে গুগল ও ফেসবুককে। জানা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নানা তথ্যের ওপর নজর রাখতেই কুকিস ব্যবহার করা হয়।
ডেটা প্রাইভেসি ওয়াচডগ সিএনআইএল বলেছে যে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য অনলাইন ট্র্যাকারদের প্রত্যাখ্যান করা কঠিন করে তুলছে ফেসবুক ও গুগল।
এ কারণে পুরো ইউরোপে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে ফেসবুক, গুগল ছাড়াও অ্যাপল এবং আমাজনের মতো প্রতিষ্ঠান। সোশ্যাল-মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ম মেনে চলার জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। বিলম্বের জন্য দৈনিক এক লাখ ইউরো জরিমানা গুনতে হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো কোন নীতিতে পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নানা নীতিমালা জারির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কম্পিউটার বা মুঠোফোনের মাধ্যমে নানা ওয়েবসাইটে ঢুকে থাকে। এ সংক্রান্ত কুকিস সংরক্ষিত থাকে ওয়েব ব্রাউজারে। গুগল ও ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব কুকিস মহা মূল্যবান। এসব তথ্যের ভিত্তিতেই বিজ্ঞাপন দিয়ে বিশাল অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নেয় তারা। অথচ এ প্রক্রিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো বেহাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সিএনআইএল জানিয়েছে- ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের কুকিস ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি ফ্রান্সে। সে কারণে ব্যবহারকারীদের তথ্য পেয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর তাতে করে চরম ঝুঁকিতে পড়ছে ব্যবহারকারীরা।
ফ্রান্সের কঠোর পদক্ষেপে অবশ্য এরই মধ্যে গুগলের টনক নড়েছে। কুকিস ব্যবহারের অভ্যাস পাল্টানোর ইঙ্গিত এরই মধ্যে দিয়েছে গুগল। এক বিবৃতিতে গুগল জানিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের চাওয়া-পাওয়া অনুযায়ী তারা নতুন পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন করবে।
সূত্র: বিবিসি।